সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়েই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস

সাইফউদ্দিন,নবী, মরলেনের ম্যাচ শেষে মজা লড়ছেন
গতবার যখন বিপিএলে অভিষেক হলো সাইফউদ্দিনের, তখন নাকি বেশ স্নায়ুচাপে ভুগেছিলেন। আর এবার? চাপটাপ নয়, টুর্নামেন্টটা বরং উপভোগ্য হয়ে উঠেছে ২১ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডারের কাছে। উপভোগ্য হবে না কেন, আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়েই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

গত বিপিএল থেকে এই বিপিএল—অনেক কিছুই যোগ হয়েছে সাইফউদ্দিনের জীবনে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এরই মধ্যে অভিষেক হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। জাতীয় দলের হয়ে খেলার চাপ সামলে যাঁকে খেলতে হয়, সেখানে বিপিএলের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আর এমন কঠিন কী! বিশেষ করে গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় কঠিন সফরটা শেষ করে বিপিএল বেশ সহজই মনে হচ্ছে তরুণ এই পেসারের, ‘প্রথমবার বিপিএলে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু এই বিপিএলটা খুব উপভোগ করছি। বোলিং, ব্যাটিং বা ফিল্ডিং তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। খেলতে এসেছি, খেলছি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিপিএল তাই খুব কঠিন কিছু মনে হচ্ছে না।’
ইনিংসের শুরুর দিকে কুমিল্লার বোলারদের ওপর বেশ চড়াও ছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটসম্যানরা। ৮ ওভারে রান উঠে গিয়েছিল ৮০। রানের গতি না থামালে দল কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়ে যেত। সাইফ রানের রাশ টেনে ধরতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সৌম্যকে প্রথমে ফেরান। এরপর এনামুল হককে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরান কুমিল্লাকে। সাইফ অবশ্য এই চাপের ব্যাপারটি উড়িয়েই দিতে চাইলেন, ‘ক্রিকেটটা এমনই। রানের খেলা। একটা সময় রান আসবে। একটা সময় বোলিং ভালো হবে। আমরা তাই এটা নিয়ে চিন্তিত হইনি। বিশ্বাস ছিল সামনে ভালো হবে। ড্রিংকস ব্রেকের পর আমরা ভাবছিলাম যে একটি ব্রেক থ্রু এলে ওদেরকে ১৫০-এর মধ্যে আটকে দিতে পারব।’

No comments

Powered by Blogger.