অবশেষে বাংলাদেশে সাথে ফাইনালে শ্রীংলঙ্কা
৮২ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। এ যেন আকাশ থেকে ধপাস করে মাটিতে পড়া। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বাংলাদেশ আজ লড়াইয়ের মতো পুঁজিটাও স্কোরবোর্ড তুলতে পারল না। এই ম্যাচে আর আছে কি? কিন্তু ক্রিকেটে তো কত কিছুই হয়।
আমাদের তো মোস্তাফিজুর রহমান আছেন। ফিরে এসেছে তাঁর খুনে কাটারের ধার। তিনিই না হয় আজ জ্বলে উঠুন। জ্বলে উঠে অন্তত লড়াইটা জমিয়ে দিন। শ্রীলঙ্কাকেও যেন ৮২ রান পেরিয়ে যেতে কষ্ট করতে হয়।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৯ রানে ২ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ ওভার বল করে ২০ রানে উইকেট ১ টি। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ৬.৩ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এই ম্যাচে প্রথম তিন ওভারই নিয়েছেন মেডেন।
এটুকু বললেও সিরিজে মোস্তাফিজের বোলিংয়ের রূপটা পুরোপুরি ফুটে ওঠে না। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের প্রতি ম্যাচেই ভুগিয়েছে তাঁর কাটার, হঠাৎ উঠে আসা বাউন্সার। ডট বলের সংখ্যাও সেটিই বলছে। প্রথম ম্যাচে ডট বল ৪১ টি, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬টি এবং তৃতীয় ম্যাচে ৩৩টি।
কিন্তু এতেই মাশরাফির মনে হচ্ছে না মোস্তাফিজ খারাপ সময়টি অতিক্রম করে চলে এসেছেন। তাঁকে আরও জ্বলে উঠতে হবে বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘এটা এখনো বলার সময় হয়নি। ও শুরুতে যখন ৫-৬ উইকেট করে নিতে লাগল, তখনই জানতাম ওর কঠিন সময় আসবে। কঠিন সময়টা মোস্তাফিজ কীভাবে সামলায়, সেটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তবে ছন্দে ফেরাটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার পেস আবার বাড়তে শুরু করেছে।’
বাজে সময়টা কাটিয়ে উঠছিলেন মোস্তাফিজ। দলও ভালো করছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ করেই ছন্দপতন। আজ বাংলাদেশ না জিতুক, ৫০ উইকেটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা মোস্তাফিজ না হয় নিজের ঝলকটা দেখিয়ে দিন।
Post a Comment