হাসপাতালে সাকিব আল হাসান

সাকিব হাসপাতালে
 ৪২তম ওভারের প্রথম বল। মোস্তাফিজের বলটা অফে ঠেলেই সিঙ্গেল নিতে দৌড়ালেন দিনেশ চান্দিমাল। সাকিব এক্সট্রা কাভার থেকে দৌড়ে এসে লাফিয়ে চেষ্টা করলেন বলটা ধরার। কিন্তু বল হাতের নিচ দিয়ে চলে গেছে, চান্দিমাল-গুনারত্নে নিয়েছেন সহজ একটা সিঙ্গেল। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই যে চোট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তাকে দ্রুতই নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই ডাইভটা দেওয়ার সময়ই মাটিতে যে শুয়ে পড়েছিলেন, বেশ কিছুক্ষণ আর কোনো নড়চড় নেই সাকিবের। শুরুতে মনে হচ্ছিল, হতাশা থেকেই উঠতে পারছেন না মাঠে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বোঝা গেল, চোট পেয়েছেন কোথাও।

পরে ফিজিও এলেন, বাঁ হাত আকড়ে ধরে সাকিবও জানান দিলেন, ব্যথা পেয়েছেন বাঁ হাতের কোনো একটা আঙুলে। এরপরেই স্ক্যান করানোর জন্য মাঠ ছেড়েছেন সাকিব।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারবেন কি না, বা চোট আসলে কতটা গুরুতর, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।

খেলাটি সরাসরি দেখতে ক্লিক করেনঃ

প্রথম ইনিংসের পর অবধারিতভাবে প্রশ্নটা উঠে যাবে, মিরপুরের এই উইকেটে কত রান ‘পার স্কোর’? অন্তত ম্যাচের প্রথম ১০ ওভার শেষে কেউই সম্ভবত প্রশ্নের উত্তরটা দিতে পারবেন না।

ওভারপ্রতি যখন প্রায় ছয়ের কাছাকাছি রান রেট ছিল, মনে হচ্ছিল এই পিচে ৩০০র কাছাকাছিও খুবই সম্ভব। কিন্তু সময় যতই গড়াতে থাকল, এই মাঠে ব্যাট করা হয়ে গেল ভাঙা বন্দুক দিয়ে বাঘ মারার মতোই কঠিন। এতোটাই যে, ধুঁকতে ধুঁকতে শ্রীলঙ্কা ২২১ রান করেই অলআউট হয়ে গেল। বাংলাদেশের জন্য এই রান তাড়া করা সহজ হবে না মোটেই, তবে ২২১ রানে যে থামিয়ে দিতে পেরেছে সেজন্য মাশরাফি রুবেল-মোস্তাফিজদের পিঠ চাপড়েই দিতে পারেন।

এই দুজনের কথা একটু আলাদা করেই বলতে হলো। মাশরাফির ‘জুয়াটা’ যে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন দুজনই। শুরুতে কুশল মেন্ডিসের ৯ বলে ২৮ রানের ঝড় যখন শ্রীলঙ্কার রানের চাকাকে সচল করে দিয়েছে, এক প্রান্ত থেকে টানা মিরাজকে বল করিয়ে গেলেন মাশরাফি। নিজেও প্রথম স্পেলে করলেন ছয় ওভার।

মিরাজ শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়েছেন গুনাথিলাকাকে, আর উড়তে থাকা মেন্ডিসকে ফিরিয়ে সবচেয়ে বড় ব্রেকথ্রু দিয়েছেন মাশরাফি। ২০ ওভার পরেও রুবেল বল হাতে পাননি, সাকিব মাত্র এসেছেন, মোস্তাফিজ করেছেন মাত্র দুই ওভার। বোঝাই যাচ্ছিল, মাশরাফি তুরুপের তাসদের শেষের জন্যই রেখে দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.