মেসির গোলে জিতল বার্সা, চাপ রিয়ালের ওপর



খুব একটা ভালো খেলেছেন, সেটি লিওনেল মেসি নিজেও সম্ভবত দাবি করবেন না। তবে কাজের কাজটি ঠিকই করলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড, বার্সেলোনার বড্ড প্রয়োজনের সময়ে। ৮৭ মিনিটে গোল করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে বার্সাকে এনে দিলেন ২-১ গোলের জয়। যাতে লা লিগার শিরোপার সম্ভাবনাও এখনো ভালোভাবে ধরে রাখল লুইস এনরিকের দল।

এই মুহূর্তে তো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও আছে বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট তাদের। যদিও এই শীর্ষে আরোহণ হতে পারে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে দুইটায় ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই মুহূর্তে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে জিনেদিন জিদানের দল, যদিও তারা ম্যাচ খেলেছে দুটি কম।



তবে আপাতত রিয়ালের ম্যাচটি বার্সা যে নির্ভার হয়ে দেখতে পারবে, সেটির জন্য তারা ধন্যবাদ দেবে মেসিকে। পুরো ম্যাচে খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি। তবে ঠিকই হয়ে গেলেন দলের ত্রাতা। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে, ম্যাচ যখন ১-১ সমতায়, তখনই অ্যাটলেটিকো বক্সে জটলার মধ্যে করলেন গোল। তার আগে কয়েক সেকেন্ড ধরেই বল ঘুরছিল অ্যাটলেটিকো বক্সে। হঠাৎই বল এল মেসির পায়ে, প্রথমে ডান পায়ের শট নিয়েছিলেন বার্সা ফরোয়ার্ড। কিন্তু সেটি লাগে অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডারের গায়ে। কিন্তু ফিরতি বলটা অ্যাটলেটিকো গোলকিপার ধরার আগেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখালেন, বাঁ পায়ের আলতো টোকায় বল জড়িয়ে দিলেন জালে। ২-১!
এই গোলে তাঁর ব্যক্তিগত ‘মাইলফলক’ও পেরিয়েছেন। এই জয়টা বার্সার জার্সিতে মেসির ৪০০তম! তাঁর গোলই আবার বিবর্ণ করে দিয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের মাইলফলকের ম্যাচ। এই ম্যাচটি অ্যাটলেটিকোর ডাগআউটে ছিল সিমিওনের ৩০০তম!
প্রথমার্ধে দুই দলই খেলেছে সমানে সমান। সুযোগও পেয়েছে, কিন্তু গোলটা আর করতে পারেনি কেউ। অচলায়তন ভাঙে ৬৪ মিনিটে, রাফিনহার গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। সেটিও এমন জটলার থেকে পাওয়া। ভিড়ের মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন রাফিনহা।
তবে অ্যাটলেটিকো জবাব দিতে সময় নিল মাত্র ছয় মিনিট। বার্সা বক্সের বাঁ দিকে ফ্রি কিক পায় ডিয়েগো সিমিওনের দল। কোকের নেওয়া সেই ফ্রি কিকে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার ডিয়েগো গোডিন। তখন হয়তো বার্সা সমর্থকদের মনে একটু ধুকপুকানি বেড়ে গিয়েছিল, এই বুঝি ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ হাত ফসকে গেল লিগ শিরোপা। এই ম্যাচে বার্সা ড্র করলে, আর রিয়াল নিজেদের ম্যাচে জিতলেই তো শিরোপার আশা কার্যত শেষ হয়ে যেত, এক ম্যাচ কম খেলেই রিয়াল এগিয়ে যেত ৩ পয়েন্টে।
কিন্তু লিওনেল মেসি তো ছিলেন। তাঁর গোলই দুশ্চিন্তাটা দূর করে দিল বার্সা সমর্থকদের। উল্টো সেটি এখন চাপছে রিয়াল সমর্থকদের ঘাড়ে। ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে জয় ছাড়া অন্য কিছু হলেই যে উল্টো চাপটা ঘিরে ধরবে তাদের। মেসির গোলের জবাব রোনালদো কিভাবে দেন, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষায় ফুটবল রোমান্টিকরা। তথ্যসূত্র: সনি সিক্স।

No comments

Powered by Blogger.