হেরাথের চোখ চারশ উইকেটে



টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুরলিধরনের আমলে, সেই ৯৯’র দিকে। কিন্তু ভাস-মুরলির দাপটে দলে থিতু হতে পারেননি তিনি। টেস্টের অভিষেকের পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালে খেলেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট।



২০০৪-০৫ মৌসুমে দলে কিছুটা নিয়মিত হলেও আবারো খেই হারায় তার টেস্ট ক্যারিয়ার। লম্বা বিরতির পর… আরও ভেঙ্গে বলতে গেলে মুত্তিয়া মুরলিধরনের অবসরের পর আবারো লাইমলাইটে আসেন তিনি।

২০০৯ সালের পর থেকে নিয়মিত লঙ্কান দলের বোলিং আক্রমনের দায়িত্ব সামাল দিয়ে এখন নিজেকে তৈরি করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে।

টেস্ট উইকেট সংখ্যার দিক থেকে ছাড়িয়ে গেছেন কিউই লেজেন্ড ডেনিয়েল ভেটরিকে। ৩৯ বছর বয়সী রঙ্গনা হেরাথের কথা বলছিলাম।

নামের পাশে ৩৬৬ উইকেট থাকা এই লঙ্কান স্পিনার রেকর্ডের চূড়ায় বসে নিজের ক্যারিয়ারে ফেলে আসা কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করেন।

বাংলাদেশের গল টেস্টে বড় জয় ও রেকর্ডের চূড়ায় থাকা হেরাথ বিলম্বে শুরু হওয়া ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের সন্তুষ্টি কথা বলতে গিয়ে জানান,

‘দেরিতে শেষ করলেও আমার কোন আফসোস নেই। আমি ৭৯ টি টেস্ট খেলেছি এবং আমি এখন পর্যন্ত আমার অর্জনে সন্তুষ্ট।’

তবে এখানেই থামতে চান না ৩৯ বছর বয়সি এই স্পিনার। চারশ টেস্ট উইকেট থেকে মাত্র ৩৪ উইকেট দূরে থাকা এই লঙ্কান লেজেন্ড দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান।

পৌঁছাতে চান চারশ টেস্ট উইকেট শিকারিদের ক্লাবে। তার ভাষ্য মতে, ‘আমি যদি এমন লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি তাহলে সেটা দারুন হবে। কারন খুব কম ক্রিকেটার চারশ টেস্ট উইকেট নিয়েছে।

আমি অবশ্যই চারশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে চাইব। কিন্তু এমন ফর্ম ধরে রাখতে পারব কিনা তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে আমি আশা করবো দেশের হয়ে খেলে এবং নিয়মিত উইকেট শিকার করবো।’

No comments

Powered by Blogger.