বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর স্মৃতিচারনায় তামিম ইকবাল

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকেই নিজেকে প্রমাণ করে আসছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। দেশেরহয়ে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তিনি।

টাইগারদের প্রাণ ভোমরা তামিম ইকবাল সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ইন্ডিয়াকে। সেখানে তামিম কথা বলেছেন নানা প্রসঙ্গে।

২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেটের এক অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছিলো বাংলাদেশ। চলতি মাসের ১৭ তারিখে দুর্দান্ত সেই জয়ের ১০ বছর পূর্তি হয়েছে।



বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই পরাজয়ের গ্লানি নিঃসন্দেহে এখনও পোড়ায় ভারতীয় ভক্ত সমর্থকদের। বিশ্বকাপে নিজেদের সেই প্রথম ম্যাচে টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাছে দাঁড়াতেই পারেননি জহির খান, অজিত আগারকার, হরভজন সিংয়ের মতো অভিজ্ঞ বোলাররা।

এই ম্যাচে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ২টি ছয় এবং ৭ টি চারের সাহায্যে খেলেছিলেন ৫৩ বলে ৫১ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। তামিম ছাড়াও মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানও দেখা পেয়েছিলেন অর্ধশতকের।

অসাধারণ এই জয়ের স্মৃতি আজও অম্লান বাংলাদেশের কোটি সমর্থকের কাছে। সেদিনের স্মৃতিচারনা করে জয়ের অন্যতম নায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন সেদিনকার অনুভূতির কথা।

উইজডেন ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষও সেই ম্যাচের কথা মনে রেখেছে। আমি বেশ খুশি ছিলাম জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর। আমি সেসময় অনেক তরুণ ছিলাম। জানতাম না আমার কি করা উচিৎ।’

দল হিসেবে এদিন ভালো খেলার প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নেমেছিলো টাইগাররা। এমনটা জানিয়ে টাইগারদের ড্যাশিং ওপেনার বলেছেন,

‘আমরা জানতাম একটি দল হিসেবে আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। আমি জানি না কিভাবে, কিন্তু ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আমার মনে হচ্ছিলো আমরা তাদের হারাতে পারবো। শচীন, শেহওয়াগ, দ্রাবিড়, গাঙ্গুলির মতো ব্যাটসম্যানেরা ছিলো, তবে এরপরেও আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’

তামিম আরও বলেন,  ‘ভাগ্যক্রমে আমরা তাদের দ্রুতই অলআউট (১৯১ রান) করতে পেরেছিলাম এবং জয়ও পেয়েছি। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ভারতকে  হারানো আমাদের আত্মবিশ্বাসের পালে বিপুল হাওয়া লাগিয়েছিলো। এরপর আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জয় পেলাম সুপার এইটে। এই সাফল্যের শুরু হয়েছে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পরই’।

No comments

Powered by Blogger.