বিশ্বকাপে ‘ফ্রি মাইন্ডে’ খেলতে পারবো নাঃ সৌম্য

সৌম্য সরকার গত অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে যে অসাধারণ সেঞ্চুরি করলেন, তেমন কিছু আবার কবে দেখা যাবে তাঁর ব্যাটে? তবে বাইশ গজে সৌম্যর ব্যাট যেদিন গর্জন তুলবে, সেদিন বাংলাদেশের হবে একটি উজ্জ্বল দিন। 

 বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এই তারকার ওপর এখন অনেক দায়িত্ব এবং চাপ। তরুণ ওপেনার আজ নিজেই জানালেন, এবারের বিশ্বকাপে আগেরবারের মতো ‘ফ্রি মাইন্ডে’ খেলতে পারবেন না তিনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে তাই তিনি মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন উইকেটে থিতু হওয়ার। 

মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেই ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে জায়গা পান সৌম্য। ২০১৫ সালটা সৌম্যর কাছে স্বপ্নের মতো কেটেছে। নবাগত ক্রিকেটার হয়েও জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খারাপ কাটেনি। ৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৮৫ রান। এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলে প্রায় নিশ্চিত তিনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ইঙ্গিত তেমনটাই। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত সৌম্য?

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বিসিবি-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রীতি ম্যাচের পর বিশ্বকাপের স্কোয়াড অনেকটা ঘোষণা করে দিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সৌম্য সরকারের সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানান, ‘অর্জিত সাহস ধরে রেখেই এবারের বিশ্বকাপ খেলতে চাই’।

‘আসলে আগেরটাতে পুরোই নতুন ছিলাম। আর এবার যদি সুযোগ পাই, তাহলে এবার পরিকল্পনা একটু ভিন্ন থাকবে। ওই সময় যেভাবে জুনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ‘ফ্রি মাইন্ডে’ খেলেছি এখন হয়তো অতটা ফ্রি থাকবো না, একটু চাপ তো থাকবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে ওখানে গিয়ে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। আগে যে বিশ্বকাপ খেলেছি, বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছি- ওখানে যে সাহস নিয়ে খেলেছি সেটা ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে।’

মাত্র ৪ বছরের ক্যারিয়ারে ক্রিকেটের ভালো-মন্দ দুই দিকই দেখে ফেলেছেন বিধ্বংসী এই ওপেনার। নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে প্রিমিয়ার লিগে এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য। তিনটিতেই বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে নিভেছে তার ইনিংস। আপাতত সৌম্য কাজ করছেন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ধরে। পরিস্থিতি বদলানোর পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার মিরপুরে সৌম্য জানান,‘আমার কাছে মনে হয়, অনেকের মধ্যে অনেক ঘাটতি থাকে। অনেকের আবার বাড়তি থাকে। আমার কাছে ম্যাচ প্রস্তুতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে, উইকেটে থাকার সময় পরিকল্পনা অনেক ভালো থাকতে হবে। আমি যে ৩০-৪০ করে আউট হয়ে যাচ্ছি, ম্যাচের পরিস্থিতিতে কিভাবে ওই জায়গা থেকে বের হওয়া যায়। বাইরে থেকে চিন্তা না করে আমি যদি ওই সময় অন্যভাবে খেলি। এই ধরনের পরিকল্পনা করছি।’


‘একেকজনের কাছে তো একেক রকম পরিকল্পনা। তো আমার কাছে মনে হয় যে আমরা যেমন ক্রিকেট খেলছি তার মধ্যে অনেক ঘাটতি পারে, বাড়তি হিসেবে। আমি মনে করি যে আমার জন্য ম্যাচের প্রস্তুতিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর উইকেটের মধ্যে পরিকল্পনাটা অনেক বেশি থাকতে হবে।’

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচিতে আছে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ, যেটি শুরু হবে ৫ মে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ মে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ জুনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ।

No comments

Powered by Blogger.