নিউজিল্যান্ডকে এখনও আমরা ভালোবাসি : মুশফিক



বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ড। দেশটির শহর ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে শুক্রবার হলো ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। যার শিকার হতে পারতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। অনেকবার দেশটিতে গেলেও এই প্রথম এমন ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন তারা। এমন ঘটনার পরও নিউজিল্যান্ডের প্রতি ভালোবাসা চলে যায়নি ক্রিকেটারদের মন থেকে।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন দেরিতে শেষ হওয়ায় মসজিদে যেতে দেরি হয় বাংলাদেশ দলের। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগেই এক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ওই মসজিদের ভেতর ঢুকে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালায়। ৩-৪ মিনিট আগে পৌঁছালে ভয়ানক কিছু হতে পারতো মাহমুদউল্লাহদের। অল্পের জন্য প্রাণ বেঁচে যায় তাদের। এই ঘটনার পর নিরাপদে হোটেলে ফিরলেও আতঙ্কের ছাপ ছিল সবার চোখেমুখে। এমনকি দেশে ফেরার বিমানে ওঠা পর্যন্ত উদ্বিগ্ন দেখা গেছে তামিম-মুশফিকদের।

শনিবার সকালে ভারী অস্ত্রসজ্জিত পুলিশের পাহারায় ক্রাইস্টচার্চ বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে তখনও সবার চোখেমুখে ছিল ভীতি। সেখানেই এক ফাঁকে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কথা বলে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।

সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুশফিক বলেন, এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। নিজেদের ভাগ্যবান দাবি করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। বেশ কয়েকবার নিউজিল্যান্ড গেছেন তিনি, সবসময় দেশটিকে ভালো চোখেই দেখেছেন। এমন ঘটনার পরও সেই মূল্যায়ন থেকে সরে আসতে চান না মুশফিক, ‘নিউজিল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ। নিউজিল্যান্ডকে এখনও আমরা ভালোবাসি।’

এই ভয়াবহ হামলার পর এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছেন কিনা প্রশ্নে মুশফিক জানান, ‘আমরা সবাই বেঁচে আছি, এতেই খুশি।’ বিমানে ওঠার আগে মুশফিক টুইটারে স্বস্তি প্রকাশ করেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমরা শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরছি।’

সিঙ্গাপুর হয়ে শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।

No comments

Powered by Blogger.