অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের পার্থক্য দেখালেন মাশরাফি


বাংলাদেশ সফরে বিদেশি দলগুলোকে যেরূপ নিরাপত্তার বলয়ে আবদ্ধ রাখা হয় তেমনটি আর কোনো দেশেই করা হয় না, বিশ্বাস বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের থেকেও বেশি বলে অভিহিত করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর দৈনিক প্রথম আলোর এক কলামে মাশরাফি অন্যান্য দেশের সাথে নিজেদের নিরাপত্তার পার্থক্যকে তুলে ধরেছেন। মাশরাফি লিখেছেন,  
 
'কোনো বিদেশি দল আমাদের এখানে এলে কি ধরণের নিরাপত্তা দেয়া হয়, সেটাও দেখতে পারে সবাই। আমাদের সরকার কিংবা ক্রিকেট বোর্ড যে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে সেটি শুধু বিশ্বমানের বললেও যেন কম বলা হয়। আমাদের দেশে যখন কোনো দল খেলতে আসে তখন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হয়। যেটা সাধারণত রাষ্ট্র প্রধানরা পেয়ে থাকেন। 
তবে বিশ্বমানের নিরাপত্তা দেয়ার পরও বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে যথেষ্ট কথা শুনতে হয়, আর এখানেই যত আক্ষেপ মাশরাফির। দলের বাসে কেউ ঢিল ফেললেও সেটি নিয়ে বিশ্বগণমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। মাশরাফির ভাষায়,  
'বিশ্বমানের নিরাপত্তা দেয়ার পরও আমাদের কত কথা শুনতে হয়। সাধারণ কোনো দর্শকের ঢিল পড়েছে টিম বাসে, সেটি নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে কি হৈচৈ। এটা আগেই বলেছি যে এধরনের ঘটনা পুরো বিশ্বব্যাপী ঘটছে। প্রতিটি দেশ যার যার জায়গা থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।' 
নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে এমন ঘটনা ঘটার পর প্রতিটি সফরেই এখন নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে বাংলাদেশকে, মনে করেন টাইগার দলপতি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার কারণে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে বলেও মতামত তাঁর,  
'নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে যখন এই ঘটনা ঘটেছে তখন আমাদের প্রতিটি সফরেই নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে।   এটাও সত্যি, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটবে এটা চিন্তার বাইরে। এ ঘটনার পর ভবিষ্যতে ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। কারও আর নির্ভার থাকার সুযোগ নেই।  আমরা জাতিগতভাবেই খেলাধুলা পছন্দ করি। আর ক্রিকেট তো এখন অন্য একটা জায়গায় চলে গিয়েছে। আশা করি, এই ঘটনার পর সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়বে। একজন মানুষ হিসেবে এমন ঘটনা মেনে নেয়া ভীষণ কঠিন,' বলেছেন মাশরাফি।

No comments

Powered by Blogger.